বাগনন মানকুমর মোড়ের সার্কাস ময়দানের বাসিন্দা সমিতা ধারা বয়স৫৩ পেশায় একজন গৃহবধূ ।

Share this page

বাগনান মানকুর মোড়ের সার্কাস ময়দানের বাসিন্দা সমিতা ধাড়া বয়স ৫৩ পেশায় একজন গৃহবধূ আর পাচটা গৃহবধূর মতো সংসার সামলান আর সময় পেলে একটু টিভিতে ধারাবাহিক দেখা,রিয়্যালিটি শো দেখা আর তার সাথে সংবাদপত্র এ চোখ বোলানো লেগেই থাকে।

কিন্তু ছোটবেলা থেকেই কিছু না কিছু সামাজিক মূলক কাজের সাথে যুক্ত থাকতে পছন্দ করতেন আর এই উদ্দেশ্যেকেই সামনে রেখে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের নিজের মাথার ১৩ইঞ্চি চুল কেটে হেয়ার ডোনেশন ওয়েষ্টবেঙ্গল নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দান করেন।সমিতা ধাড়া বিয়ের আগে থেকেই সামাজিক মূলক কাজ করে থাকেন যেমন পাড়ায় কেউ অসুস্থ হয়ে গেছেন খবর পেয়ে তার কাছে থেকে তার যত্নাদি করা বা চিকিৎসকের নিয়ে যাওয়া কিন্তু এই কাজ গুলো বিয়ের পরেও বন্ধ রাখেননি তিনি নিয়মিত চালিয়ে গেছেন।

স্বামী,এক কন্যা ও এক পুত্রকে নিয়েই ওনার সংসার সামলান।স্বামী অবসরপ্রাপ্ত এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী,মেয়ে বিএএড কলেজের ছাত্রী পাশাপাশি এক বিউটিশিয়ার আর পুত্র একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী কিন্তু এমত অবস্থায় সমিতা ধাড়ার স্বামী বর্তমানে অসুস্থ আছেন মানসিক অবস্থা একদম ভালো নেই ওনার কিন্তু ওনার কন্যা সানন্দা ধাড়ার কাছ থেকে খবর পায় যে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের জন্য নিজের মাথার চুল দান করা যায় স্বামী অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও তিনি তার কন্যাকে খোজ নিতে বলেন যে কি কি পদ্ধতি আছে সেই গুলো জেনে বলতে তারপর কন্যা সানন্দার সব পদ্ধতি বলার পরেই তিনি তড়িঘড়ি নিজের চুল দানের ব্যবস্থা করেন।

সমিতা ধাড়া জানান, আমার স্বামী গুরুতর অসুস্থ আছেন প্রায় প্রতি মাসে মাসে নার্সিং হোমে ছুটতে হয় চিকিৎসার জন্য তাই মানসিক অবস্থা একদম ভালো নেই কিন্তু আমার এই চুলটি একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে দান করতে পেরে খুব ভালো লাগছে পাশাপাশি তিনি এও জানান যে ভবিষ্যতে একটা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাথে কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *