বীরভূম :- জেলায় পথ দুর্ঘটনার খামতি নেই। প্রতিদিনই জেলার কোথাও না কোথাও পথ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে ৷ তাতে আহতের পাশাপাশি প্রাণ হারাতে হচ্ছে বহু সাধারণ মানুষকে। নিয়ন্ত্রণহীন বাসচলাচলের কারণেই পথ দুর্ঘটনা ঘটছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। অবশ্য বাস মালিকরা বলছেন অন্য কথা৷ চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার এবং বুধবার পরপর দু’দিন দুর্ঘটনায় পড়ে দু’টি যাত্রীবাহী বাস। মঙ্গলবার একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বীরভূমের সাঁইথিয়ার করুমসাহা গ্রামে। আহমেদপুর বোলপুর রাস্তায় এই যাত্রীবাহী বেসরকারি বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে অনেক দূরে মাঠের মধ্যে পাল্টি খেয়ে উল্টে যায়।
এই ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। যাদের উদ্ধার করে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। পরে পুলিশ এসে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই যাত্রীবাহী বাসটি আটক করে৷ কুরুমসাহা গ্রামে যাত্রীবাহী বাসের এই দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার ফের একটি বেসরকারি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে৷বুধবার এই যাত্রীবাহী বাসটি বোলপুরের গোয়ালপাড়া থেকে মুর্শিদাবাদের উদ্ধারনপুর যাচ্ছিল। সেই সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে লাভপুরের বিপ্রটিকুড়ি গ্রামের হাসপাতাল মোড়ের কাছে। এই যাত্রীবাহী বাসটি তার সামনে থাকা একটি ম্যাটাডোরে সজোরে ধাক্কা মারে।
এই ঘটনায় আনুমানিক পাঁচজন আহত হন,তাঁদেরউদ্ধার করে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল বেলা বোলপুরের গোয়ালপাড়া থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই যাত্রীবাহী বাস এবং ম্যাটাডোরটি একসঙ্গে উদ্ধারণপুরের দিকে রওনা দেয়। গঙ্গা স্নানের উদ্দেশ্যে ওই দুটি যানে আনুমানিক ১৪০ জন যাত্রী ছিলেন। যাত্রাপথে বিপ্রটিকুড়ি গ্রামের হাসপাতাল মোড়ের কাছে ম্যাটাডোরটির সামনে হঠাৎ একটি মোটর বাইক চলে এলে ম্যাটাডোরটি ব্রেক করে এবং তার পিছনে থাকা বাসটি নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে সজোরে তার পিছনে ধাক্কা মারে।
তবে এই ঘটনায় বাসের যাত্রীদের অনেকের অভিযোগ, চালক নেশাগ্রস্ত ছিলেন। বাস মালিক পক্ষের দাবি, রাস্তা খারাপের জন্য বাসের পাতি ভেঙে যাচ্ছে অথবা অন্য কোন যান্ত্রিক সমস্যা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসবের কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। এর সপক্ষে তারা উল্লেখ করেছেন, বর্তমানে প্রশাসনের তরফ থেকে এমন নিয়ম করা হয়েছে যাতে করে আর বেশি যাত্রী নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।