পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : গত সোমবার রাতে পাড়ার কিছু মদ্যপ-দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন “গণশক্তি” কাগজের প্রবীণ চিত্র-সাংবাদিক প্রবীর দাশগুপ্ত। এই ঘটনায় জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় আভিযোগ দায়ের হওয়ার পরদিনই অভিযুক্ত কমলেশ সরকার ও তার দিদি ছায়া দাসকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শুক্রবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের জামিনের আর্জি খারিজ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের বিচারক।
আক্রান্ত চিত্র-সাংবাদিক প্রবীর দাশগুপ্তের মেয়ে পৃথা দাশগুপ্ত জানান, তারা কোতোয়ালি থানা এলাকার সদর ব্লকের গোমস্ত পাড়ার বাসিন্দা। তাদের পাড়ার কিছু মদ্যপ দুষ্কৃতী দীর্ঘদিন ধরেই তাকে ও তার বোনকে নানা রকম অশালীন কটূক্তি করে উত্যক্ত করছিল। গত সোমবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় কমলেশ নামের ওই দুষ্কৃতী তাকে ও তার বোনকে অশালীন ইঙ্গিত করে কুপ্রস্তাব দেয়। এই ঘটনায় তারা চেঁচামেচি শুরু করতেই তার বাবা প্রবীর বাবু ছুটে আসেন। এব্যপারে প্রতিবাদ করতেই তার চশমা ভেঙ্গে দেওয়া হয়। আমানুষিক ভাবে তাকে মারতে থাকে মদ্যপ দুষ্কৃতীরা। থানায় আভিযোগ করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় কমলেশ ও তার দিদি ছায়া। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রবীর বাবুর পরিবারের সদস্যরা।
ওইদিন রাতেই শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রবীর দাশগুপ্ত। অভিযোগের ভিত্তিতে পরের দিনই পুলিশ গ্রেফতার করে কমলেশ সরকার ও তার দিদি ছায়া দাসকে। তাদের জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিনের আর্জি খারিজ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।