উঠে গিয়েছে কোভিড বিধিনিষেধ। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ যে সত্যি সেটার পরিচয় মিলছে সর্বত্র। শুরু হলো ঐতিহ্যবাহী ছাতু মেলা। সোমবার কেশিয়াড়ির বাঘাস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাড়েশ্বরপুরে বাসুলি মায়ের মন্দিরে পুজো ও সংলগ্ন এলাকায় মেলা বসে।
মেলা চলে সংক্রান্তির দিন পর্যন্ত। নিয়ম অনুয়ায়ী পরম্পরা মেনে এলাকার একটি খাল থেকে জল এনে, নানা উপাচার সাজিয়ে বাসুলি মায়ের পুজো দেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষজন। এইভাবেই নিয়ম মেনে আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুজোয় মেতে ওঠেন এলাকার মানুষজন।সোমবার ফিতে কেটে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামণি মান্ডি।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে এলাকা পরিক্রমা করেন সকলে। মাটির তৈরি হাতি ঘোড়া পুজো দেওয়া হয় এখানে। সকলে পুজোর সামগ্রীর সাথে সাথে দেন হাতি ঘোড়াও। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলার বিস্তির্ণ এলাকার বহু মানুষ মানতের পুজো দিতে এখানে আসেন বলে জানান উদ্দোক্তারা।
এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, বহু প্রাচীন এই মেলা। এর সঙ্গে কিংবদন্তি জড়িয়ে আছে। সংক্রান্তির দিন সন্ধ্যের পর এই মেলাতে কেউ থাকতে পারেন না। এই নিয়ম বছর বছর চলে আসছে। গ্রামীন এলাকার অর্থনিতিকে চাঙ্গা করতে ও এলাকার মানুষদের মধ্য মেলবন্ধ ঘটাতে এই মেলার আয়োজন।
এদিনের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাদক্ষা মামনী মান্ডী, বাঘাস্তি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রুমি বেরা গিরি, এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী বীরেন মহাপাত্র, সবদেব দোলাই, মেলা কমিটির সম্পাদক সুধাংশু বেরা,সভাপতি নিরঞ্জন সিং, মেলা কমিটির সদস্য অনুরুপ পাত্র সহ অনেকেই।