উলুবেড়িয়া, ১৬ আগস্ট ২০২৫:
প্রতি বছর ১৬ই আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে খেলা হবে দিবস পালিত হয়। খেলাধুলার গুরুত্বকে তরুণ সমাজের কাছে পৌঁছে দেওয়া, স্বাস্থ্য, শৃঙ্খলা ও দলগত চেতনার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়াই এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য।
এ বছর উলুবেড়িয়া-১ ব্লকে দিনটি উদযাপন করা হয় এক বর্ণাঢ্য ফুটবল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। সকাল থেকেই স্থানীয় মানুষজন মাঠে ভিড় জমাতে শুরু করেন। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের সদস্যরা, সাধারণ মানুষ সকলে মিলিত হয়ে রীতিমতো এক ক্রীড়া-উৎসবের আবহ তৈরি করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় মন্ত্রী শ্রী পুলক রায়, যিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন — “খেলা হবে দিবস শুধু একটি উৎসব নয়, এটি বাংলার মানুষের প্রাণের ডাক। খেলাধুলা তরুণ সমাজকে মাদক, হিংসা ও বিভাজনের পথ থেকে সরিয়ে এনে সুস্থ জীবনযাত্রার দিকে নিয়ে যায়।”
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত ফুটবলার ও বিধায়ক শ্রী বিদেশ রঞ্জন বসু। তিনি তাঁর বক্তব্যে ফুটবলের স্বর্ণযুগের কথা স্মরণ করে বলেন — “ফুটবল বাঙালির রক্তে মিশে আছে। এই খেলা আমাদের আবেগ, আমাদের গর্ব।” তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে খেলাধুলার চর্চা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের বিডিও শ্রী এইচ. এম. রিয়াজুল হক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্রী অতীন্দ্র শेखর প্রামাণিক, সহ-সভাপতি শ্রীমতী সাহানা মোল্লিক, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম মোল্লা, মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ এ. কে. মোফিজুল, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মোরাদ আলি, ক্রীড়া কর্মাধ্যক্ষ শুভ্রা দাস, ব্লক যুব আধিকারিক অমিত নস্কর। এছাড়াও সমাজসেবী মধু বাগ, দেবাশিস ব্যানার্জি, ফরুক মোল্লা প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
বিডিও শ্রী এইচ. এম. রিয়াজুল হক বলেন — “খেলাধুলা আমাদের জীবনে নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখায়, দলগত চেতনা জাগায় এবং ভ্রাতৃত্ববোধকে শক্তিশালী করে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আমরা চাই প্রতিটি গ্রামে খেলাধুলার সুযোগ তৈরি হোক।”
দিনের প্রধান আকর্ষণ ছিল দুই স্থানীয় দলের মধ্যে রোমাঞ্চকর ফুটবল ম্যাচ। খেলার প্রথমার্ধ থেকেই মাঠে ছিল চরম উত্তেজনা। দর্শকদের উল্লাসে মাঠ প্রকম্পিত হচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে গোল করে বিজয় ছিনিয়ে নেয় একটি দল, আর সেই আনন্দে দর্শক-খেলোয়াড় একসাথে উল্লাসে মেতে ওঠেন।
দিনভর ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ফুটবলপ্রেমীদের ঢল নামে এবং উলুবেড়িয়া-১ ব্লক জুড়ে রীতিমতো এক উৎসবের আবহ তৈরি হয়।