স্কুলের ছাত্রীদের ‘ব্যাড টাচ’ এবং অশালীন মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে

Share this page

নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা সামনে এসেছে, যা স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশে এক গুরুতর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। অভিযোগ উঠেছে, স্কুলের এক শিক্ষক ধারাবাহিকভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে এবং ছাত্রীর মোবাইলে অশালীন মেসেজ পাঠিয়ে শ্লীলতাহানি করেছেন। সোমবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর অভিভাবকরা স্কুলে জড়ো হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। সংবাদ পেয়ে পলাশীপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

এই ঘটনার সাথে যুক্ত স্কুলটি হল পলসন্ডা গার্লস হাই স্কুল। প্রতিবাদ জানাতে এলাকার নানা জনগণের পাশাপাশি অভিভাবকরা স্কুলে এসে একত্রিত হন। তাঁরা দাবি করেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যাতে তাকে গ্রেপ্তার করে স্কুল থেকে অপসারণ করা যায়। পলাশীপাড়া থানার পুলিশ তাদের আশ্বাস দেয়। তবে অভিভাবকরা জানান, যদি দ্রুত অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা না হয়, তবে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেন।

বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের অভিযোগ, অস্থায়ী শিক্ষক সামিউল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে নবম শ্রেণির একাধিক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছেন। তাঁরা দাবি করেন, সুযোগ পেলেই উক্ত শিক্ষক ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিতেন। এ ছাড়া, ছাত্রীদের মোবাইলে অশালীন মেসেজ পাঠানোরও অভিযোগ রয়েছে। অন্যান্য ছাত্রীরা জানিয়েছে, এই ধরনের ঘটনা দীর্ঘ দিন ধরে ঘটছে। সমাজের লজ্জার কারণে তারা অনেক দিন কাউকে কিছু বলতে পারেনি। এর আগে একজন ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেছিল, সেই সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু এরপরও অভিযুক্ত শিক্ষক একইভাবে তার কার্যকলাপ চালিয়ে যান। हालেই এই ঘটনার ব্যাপারে কথা বলার সাহস পেয়ে, ছাত্রীরা একে একে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে শুরু করে।

অস্থায়ী শিক্ষক সামিউলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ প্রধান শিক্ষক সুব্রত মুখোপাধ্যায় স্বীকার করেছেন। বিক্ষোভের পর তিনি থানায় গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সম্পর্কে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলের পক্ষ থেকে বা ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও থানায় কোনো অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে যদি অভিযোগ আসে, তখন যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *