সকালের রেল দুর্ঘটনার প্রধান কারণ কি নলপুরেই? সিগন্যাল রুমে কি কোনো সমস্যা ছিল? তদন্ত চলছে।

Share this page

রেলের স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা বদলানোর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই বদলানোর প্রক্রিয়াটি কীভাবে সম্ভব, সেটি নিয়ে আগ্রহী মহল গবেষণা করছে। নলপুর স্টেশনের রিলে রুমে দুর্ঘটনার আগে ‘লজিকের’ পরিবর্তন সম্পর্কে আলোচনা চলছে। সেকেন্দ্রবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত করার দাবি করা হলেও, এ সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নের এখনও উত্তর পাওয়া যায়নি।

এই মুহূর্তে তদন্ত চলছে। তদন্তকারীরা নলপুর স্টেশনের রিলে রুমের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছেন। রেল বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সিগন্যাল ও পয়েন্ট সেটিংয়ের ক্ষেত্রে রিলে রুমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকেই সিগন্যাল এবং পয়েন্টের সমন্বয় সম্পন্ন হয় এবং কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে তা বড় রকমের বিপদের সৃষ্টি করতে পারে।

ঘটনার স্থানে পয়েন্ট সেটিংয়ে বিভ্রাটের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বিভ্রাট রেল কর্তৃপক্ষকে অবাক করেছে। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে ইঞ্জিন এবং তার পরবর্তী কামরার সঙ্গে পয়েন্ট রিভার্স হয়ে গেল? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে এবং সেই কারণে তদন্তকারীদের নজর রিলে রুমের দিকে। পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত টিম এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে, দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের অধীন খড়্গপুর ডিভিশনের শালিমার স্টেশনে ঢোকার আগে নলপুরের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটে। এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি পার্সেল ভ্যান এবং বাকি দুটিতে যাত্রীরা ছিলেন। সৌভাগ্যবশত, হতাহতের খবর নেই। তবুও, এই দুর্ঘটনার ফলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটেছে।

দুর্ঘটনার ফলে বন্দে ভারত সহ একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন থমকে যায়। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে চার ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হতে শুরু করে। রেলের সিগন্যাল ব্যবস্থার নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে, এবং আশা করা হচ্ছে যে তদন্তের মাধ্যমে সমস্যাগুলোর প্রকৃত কারণ এবং সমাধান বের করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *