নিরুফা খাতুন : কালীপুজোর সময় দক্ষিণবঙ্গের জনজীবন এক বিশেষ উত্সবের মধ্যে দিয়ে যায়। কিন্তু, চলতি বছর এই পূজার আগে ঝড়-বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গকে তীব্রভাবে প্রভাবিত করেছে। বিভিন্ন মহলে এই প্রশ্ন উঠেছে, আলোর উৎসব কি হঠাৎ করেই বৃষ্টির ভেতরে ডুবে যাবে? এই উদ্বেগের মাঝে, আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে কিছু আশার বার্তা এসেছে। তারা জানাচ্ছে যে, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে কালীপুজোর দিন দক্ষিণবঙ্গের আটটি জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে ভাইফোঁটার দিনে মেঘমুক্ত এবং পরিষ্কার আকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়ার গতিপথ অনুযায়ী, সপ্তাহান্ত থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হবে।
আবহাওয়া দপ্তর দ্বারা জানানো হয়েছে যে, উত্তর অসমের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে এবং পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সক্রিয়তা কিছুটা বাড়ছে। এর ফলে, আজ কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। তবে, শনিবার থেকে জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই এবং মূলত পরিষ্কার আকাশ বিরাজ করবে। শুষ্ক আবহাওয়া ধীরে ধীরে তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করবে।
বৃষ্টির সম্ভাবনা যেমন কমবে, তেমন বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণও কমতে শুরু করবে। এর ফলে, আর্দ্রতার কারণে যে অস্বস্তি অনুভূত হয়, তা ধীরে ধীরে কমে আসবে।
উত্তরবঙ্গে কালীপুজোর দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস করা হয়েছে। বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ এলাকায় খুব হালকা বৃষ্টি হতে পারে। পয়লা নভেম্বর থেকে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে শুষ্ক আবহাওয়া শুরু হবে এবং ক্রমশ কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে শুষ্ক আবহাওয়া বিস্তার করবে। তবে, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি চলতে থাকে।
কলকাতা রবিবার ভাইফোঁটার দিন শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই এবং তাতে পরিষ্কার আকাশের সম্ভাবনা থাকবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমবে, ফলে আর্দ্রতার কারণে তৈরি হওয়া অস্বস্তিও কমে যাবে।