বাড়ির উপরে ছিল ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ভোল্টের তার৷ সেই তারই কিছুটা ঝুলে গিয়ে বাড়ির টিনের চালের সংস্পর্শে চলে এসেছিল৷ যার জেরে গোটা বাড়ি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গেল৷ আগুন ধরে গেল আসবাবপত্র এবং বৈদ্যুতিন সরঞ্জামে৷ কোনওক্রমে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে প্রাণে বাঁচলেন পরিবারের সদস্যরা৷
সোমবার দুপুরে এমনই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো হাওড়ার বাঁকড়ার মিশ্রপাড়ায়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দমকল ও বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্মীরা৷ বিদ্যুৎ পর্ষদের অবশ্য অভিযোগ, বাড়িটি বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল৷
ঘটনার সূত্রপাত এ দিন দুপুরে৷ সেই সময় ওই পরিবারের চার- পাঁচ জন সদস্য বাড়িতে ছিলেন৷ আচমকাই পরিবারের সদস্যরা অনুভব করেন, গোটা বাড়িটিই গরম হয়ে উঠছে৷ কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বাড়ির টিভি, ফ্যান সশব্দে ফেটে যায়৷ আগুন লেগে যায় আসবাবপত্রে৷
বিপদ বুঝে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির বাইরে চলে আসেন প্রত্যেকে৷ চিৎকার চেঁচামেচীতে প্রতিবেশীরাও জড়ো হয়ে যান৷ দেখা যায়, উপর দিয়ে যাওয়া হাই টেনশন তার বাড়ির চিলেকোঠার টিনের চালের উপরে এসে পড়েছে৷ প্রতিবেশীরাই বাঁশ দিয়ে ওই তার সরান৷
এর পর বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্মীরা এসে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন৷ সময় মতো বাড়ি থেকে না বেরোলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পরিবারের প্রত্যেকের মৃত্যুর আশঙ্কা ছিল৷
রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের হাওড়ার এরিয়া ম্যানেজার অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সাংঘাতিক ঘটনা ঘটেছে৷ গোটা বাড়িটিই প্রশাসনকে অন্ধকারে বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হয়৷ এই ঘটনার জন্য হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হয়৷ বাড়ির সবার মৃত্যু হতে পারত৷ নিজেদের জীবনের বিপদ নিজেরাই ডেকে এনেছেন৷ এরকম ঘটনা অনেকেই করছে৷’ বিদ্যুৎ দফতরের ওই কর্তার দাবি, তার ঠিক ভাবেই গিয়েছে৷ কিন্তু বেআইনি নির্মাণের কারণেই বিপত্তি৷