মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘীর কাবিলপুর- বালাগাছি দামোস বিল পরিদর্শনে আসেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা। দামোস বিল নিয়ে অচলাবস্থা অব্যাহত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দামোস বিল ও তার সংলগ্ন ১০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। গত ১৪ই এপ্রিল থেকে এই ১৪৪ ধারা শুরু হয়েছে, যা ২৮ শে এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
উল্লেখ্য,দীর্ঘদিন ধরে সাগরদিঘী দামোস বিলে জমিহারা কৃষক ও মৎসজীবিদের মাছ ধরতে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এই বিলের ২০০ একর এলাকা সরকারি। আর বাদবাকি প্রায় ৩০৪ একর জায়গা জমিহারা কৃষক ও মৎসজীবিদের। এরমধ্যে সরকারি এলাকার প্রায়১১৯ একর জলাভূমি সরকার সাগরদিঘী ফিশারম্যান কো-অপারেটিভ সোসাইটিকে লিজ দিয়েছিল।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ,ওই কো-অপারেটিভ সোসাইটি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হওয়ায় জোরপূর্বকভাবে বিলের পুরো অংশ দখল করে।এরফলে জমিহারা কৃষক ও মৎসজীবিরা এই দামোস বিল থেকে বঞ্চিত হয়।আর এরফলেই আন্দোলন শুরু করে জমিহারা কৃষক ও মৎসজীবিরা।যদিও ওই সোসাইটি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে জানা গেছে,সাগরদিঘি ফিশারম্যান কো-অপারেটিভ সোসাইটিকে এই দামোস বিলের ১১৯ একর জমি তিন বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল। যার মেয়াদ গত ১৪ই এপ্রিল শেষ হয়ে গেছে। আর এরপরেই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই দামোস বিলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
এদিনে দামোস বিল পরিদর্শনে আসেন জঙ্গিপুর এস, ডি, ও, ডেপুটি ম্যাজিস্টার বিশ্বনাথ সাহা, সাগরদিঘী সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শ্রী সুরজিৎ চ্যাটার্জী, সাগরদিঘীর ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্রী সুমিত বিশ্বাস, প্ৰমুখ। খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান হবে বলে তারা জানান।