মালদা খালতিপুর রেলস্টেশনে কাটিহার – হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে এক ‌যুবককে গ্রেফতার করে স্পেশাল টাস্কফোর্স

Share this page

বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করতে এসে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের জালে ধড়া পড়ল আন্তঃরাজ্য পাচার চক্রের এক পান্ডা। সোমবার রাতে মালদা, খালতিপুর রেলস্টেশনে কাটিহার- হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে এক ‌যুবককে গ্রেফতার করে স্পেশাল টাস্কফোর্স । ধৃত পাচারকারীর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র। স্পেশাল টাস্কফোর্স এর মালদহ শাখার পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে মালদহ জিআরপির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে মালদহ জিআরপি থানা।মালদহ জেলা জুড়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা অব্যাহত।

রবিবার রাতে মালদা ইংরেজবাজার থানার পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মধুঘাট‌ এলাকায় হানা দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ওই যুবককে গ্রেফতার করে। ধৃত যুবকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পাইপগান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম মোসাদিক হোসেন। বাড়ি কালিয়াচক থানার মৌসিমপুর‌ এলাকায়। ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ঘটনার তদন্ত করছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও জেলায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার ভিন রাজ্যের পাচারকারী।

সোমবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাঠিহার- হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনে হানা দেয় স্পেশাল টাস্কফোর্স। মালদা খালতিপুর রেল স্টেশনে হাওড়াগামী এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে হানা দেয়। তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহজনক অবস্থায় এক বিহারের বাসিন্দাকে আটক করে। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় চারটি আগ্নেয়াস্ত্র। স্পেশাল টাস্কফোর্সের কর্তারা তাকে আটক করে। মালদহ জিআরপি ও স্পেশাল টাস্কফোর্স সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের বাড়ি বিহারের মুঙ্গের জেলায়। মাঝেমধ্যেই বিহার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে মালদহে পাচার করেছে। এদিন তার হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে মালদার কালিয়াচকের কোন এক ব্যক্তির কাছে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি দিতে এসেছিল। পুলিশ কালিয়াচকের ওই অভিযুক্তের খোঁজে ইতিমধ্যে তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বিহার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি নিয়েছে মালদা বিভিন্ন প্রান্তে সেগুলি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বিহারের পাচারকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র গুলি মালদা পাচারকারীদের হাতে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকেই গোটা জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। আন্তঃরাজ্য পাচার চক্রের পান্ডাকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো তথ্য পাওয়া যাবে এমনটাই ধারণা তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *