কোচবিহার :- বছরের শুরুতেই কোচবিহারে কালবৈশাখীর তাণ্ডব। ঘুঘুমারি ও মোয়ামারিতে ২ জনের মৃত্যু। জানা গিয়েছে, ঝড়ে উড়ে আসা টিনের আঘাতে মৃত্যু হয় এক তরুণের। মোয়ামারী গ্রাম পঞ্চায়েতের জাহাঙ্গীর আলম নামে ওই তরুণের বয়স ১৯ বছর। আহত অন্তত ২০। ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত।
ভেঙেচুরে পড়ে রয়েছে একের পর এক বাড়ি, ঝড়ে উড়ে গেছে টিনের চাল, বৃষ্টির জলে ভিজে সপসপে তোষক থেকে পড়ার বই, উল্টে পড়ে আছে গ্যাস সিলিন্ডার, ভেঙে পড়ে রয়েছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, প্রকৃতির তাণ্ডবে লন্ডভন্ড কোচবিহারের একাধিক এলাকা। প্রকৃতির ভয়ঙ্কর রোষে প্রাণ গেল দুজনের। কালবৈশাখীর তাণ্ডবে আহত হয়েছেন প্রায় ২০ জন। কয়েকদিন ধরেই কোচবিহারে চলছে বৃষ্টি।
গতকাল সন্ধে নাগাদ শুরু হয় ঝড়। কালবৈশাখীর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক বাড়ি। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল, পয়লা বৈশাখের আগের রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছিল কোচবিহারের তুফানগঞ্জ। ফের ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ হল শতাধিক বাড়ি।
অন্যদিকে, কয়েক মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের তররুই ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি গ্রাম। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল বিকেল ৫টা নাগাদ বাঁকুড়পাদা ও পালানিয়া গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যায় প্রবল ঝড়। ঝড়ের দাপটে উড়ে যায় বাড়ির চাল, ঘরের উপর উপড়ে পড়ে গাছ। ক্ষতিগ্রস্ত ৩০টির বেশি বাড়ি।
প্রবল ঝড়ে প্রায় ১০০ একর ধানজমিরও ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দাঁতনের বিডিও।গতকাল, দাঁতনের বিডিও জানান, “প্রবল ঝড়ে দাঁতনের ২ ও ৩ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। কৃষি দফতরের আধিকারিকরা ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শন করছেন।”