বৃহস্পতিবার মেলা থেকে ফেরার পথে শান্তিনিকেতনে গণধর্ষণের অভিযোগে

Share this page

শান্তিনিকেতন: শান্তিনিকেতনে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ২। বৃহস্পতিবার মেলা থেকে ফেরার পথে শান্তিনিকেতনে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার ৩ দিন পর মূল অভিযুক্তর ২ সঙ্গীকে গতকাল রাতে পাড়ুই থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বীরভূমের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, নাবালিকার বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের স্কেচ আঁকানো হয়। তার ভিত্তিতেই পাড়ুই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সুনীল সোরেন ও লক্ষ্মীরাম সোরেনকে। ফেরার আরও তিন অভিযুক্তর খোঁজ চলছে।

মেলা থেকে ফেরার পথে শান্তিনিকেতনে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনার পর ৩ দিন পেরোনোর পর ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।  এদিকে এই ঘটনার  প্রতিবাদে গতকাল, রবিবার বিক্ষোভ দেখাল বাম ও বিজেপি। পুলিশের কাছে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা। দাবি তোলা হয় CBI তদন্তের। গতকাল মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্যাতিতার গ্রামে যায়। নাবালিকা ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হন মহিলা মোর্চার সদস্যরা। তনুজা চক্রবর্তীর অভিযোগ, “পুলিশই পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, বয়ান বদল করে গল্প বানাচ্ছে, ওরা ভয়ে আছে, আমরা সিবিআই চাই।’’ এদিনই সার্কিট হাউসে নির্যাতিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।

নির্যাতিতার পরিবার সার্কিট হাউসে রয়েছে, এখবর পেয়ে সেখানে চলে যান বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা। সেখানেও পুলিশকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। বিকেলে নির্যাতিতার গ্রামে যান বিজেপির মুখপাত্র ভারতী ঘোষ ও দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। ভারতী ঘোষের অভিযোগ, “পরিবার বয়ান বদলাচ্ছে, পুলিশ চাপ সৃষ্টি করছে, আমরা গ্রামে ঢোকার আগেই পুলিশ নির্যাতিতা ও তার মাকে তুলে নিয়ে যায়।’’ শান্তিনিকেতনকাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্না মঞ্চ তৈরি করে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় সিপিএমও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *