দামোদরপুরে বাল্যবিবাহ রুখে দিল প্রশাসন — কন্যার জীবনে ফিরল আশার আলো

Share this page

উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের অন্তর্গত বহিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের দামোদরপুর গ্রামে একটি সম্ভাব্য বাল্যবিবাহে আজ দাঁড়িয়ে গেল প্রশাসনের দৃঢ় কণ্ঠস্বর। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর আগামীকালের বিয়ে স্থগিত করা হলো বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতি নেতৃত্ব ও পুলিশের তৎপর হস্তক্ষেপে।

 

কিশোরীটির পড়াশোনার ঠিকানা বহিরা হাই স্কুল; আর পাত্র ছিলেন গঙ্গারামপুর এলাকার এক যুবক। অল্পবয়সেই জীবনের মোড় ঘুরে যাওয়ার আশঙ্কা যখন তীব্র, তখনই প্রশাসন দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দেয়—এই সমাজে মেয়েরা আগে পড়বে, পরে ভাববে সংসার।

 

আজ ব্লকের বিডিও এইচ. এম. রিয়াজুল হক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অতীন্দ্রশেখর প্রামাণিক, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মুরাদ আলি এবং উলুবেড়িয়া থানার এসআই সুজিত মান্না ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাত্রীর পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেন। বোঝানো হয় বাল্যবিবাহের ক্ষতি, আইন, ও ভবিষ্যতের দায়দায়িত্ব সম্পর্কে। এরপর পাত্রীর মা মুচলেকা দেন—মেয়ের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না।

 

বিডিও এইচ. এম. রিয়াজুল হক বলেন,

“একজন কিশোরীর ভবিষ্যত রক্ষা করতে পারা শুধুই প্রশাসনিক কাজ নয়, এটা এক ধরনের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা চাই প্রতিটি কন্যাশিশু পড়াশোনার আলোয় বড় হয়ে সমাজে নিজের পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত হোক। আমরা সবাই মিলে এই বার্তাই ছড়াতে চাই—‘বাল্যবিবাহ নয়, পড়াশোনাই হোক কন্যার প্রথম অঙ্গীকার।’”

 

এই ঘটনার মাধ্যমে উলুবেড়িয়া-১ ব্লক একবার আরও প্রমাণ করল—সচেতনতা, সদিচ্ছা ও প্রশাসনিক সদয় দৃঢ়তা মিললে সমাজ বদলাতে বাধ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *