প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিথিভোজের মধ্য দিয়ে জন্মদিন উদযাপন: এক মানবিক শিক্ষা ও মিলনের বার্তা

Share this page

বর্তমানে রাজ্য সরকারের অনুমতিতে রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে মিড ডে মিলের পাশাপাশি তিথিভোজনের আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সামাজিক বন্ধন, সহানুভূতি ও ভাগ করে নেওয়ার মানসিকতা গড়ে তোলার এক অভিনব প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে।

এই ধারাবাহিকতায় আজ একটি বিশেষ তিথিভোজের আয়োজন করা হয় ঘরসলপ কনভার্টেড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ক তার দশম জন্মদিন উপলক্ষে তার বিদ্যালয়ের সমস্ত বন্ধুদের সঙ্গে এই আনন্দের মুহূর্ত ভাগ করে নেয়। তার বাবা, অনুপ কুমার মন্ডল, যিনি ওই বিদ্যালয়েরই সহকারী শিক্ষক, নিজেই এই তিথিভোজ কর্মসূচির আয়োজক ছিলেন। অনুষ্ঠানটি ছিল হৃদয়স্পর্শী ও আনন্দময়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া-I ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (BDO) এইচ এম রিয়াজুল হক, মিড ডে মিল প্রকল্পের জেলা আধিকারিক ফিরোজ আলম, পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মদক্ষ শেখ মুরাদ, উলুবেড়িয়া উত্তর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুরজ মন্ডল, সুবিমল দত্ত, শিক্ষক দিব্যেন্দু বাবু সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাবন্ধুরা।

শিশুদের মুখে হাসি ও আনন্দ ছিল চোখে পড়ার মতো। কেক কাটা, খাওয়া-দাওয়া এবং একসঙ্গে সময় কাটানোর মধ্য দিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণটি যেন এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।

এই প্রসঙ্গে অনুপ কুমার মন্ডল বলেন,

“আমার ছেলের জন্মদিনের আনন্দ শুধু ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে স্কুলের সব ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আমি গর্বিত। ওদের সবার মুখে হাসি দেখাটাই আমার সবচেয়ে বড় উপহার। অনেক ভালোবাসা ও আশীর্বাদে ওদের ভবিষ্যৎ হোক সুমধুর।”

বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক বলেন,

“তিথিভোজের মতো মানবিক উদ্যোগ শিশুদের মধ্যে সামাজিক দায়িত্ব ও সহমর্মিতার শিক্ষা দেয়। অর্ক ও তার পরিবারের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এমন উদ্যোগ অন্যান্য বিদ্যালয়গুলির জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”

এই ধরনের তিথিভোজ শুধু শিশুদের জন্য এক আনন্দের উপলক্ষ নয়, বরং এক মূল্যবান সামাজিক পাঠ—ভাগ করে নেওয়ার, ভালোবাসার এবং একে অপরের সঙ্গে মিশে থাকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *