উলুবেড়িয়া, ২৭ মে, ২০২৫: আজ দুপুরে উলুবেড়িয়া–১ ব্লকের হাটগাছা–২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দাহুকা গ্রামে নবনির্মিত মাশরুম উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন রাজ্য, জেলা এবং ব্লক স্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এই পরিদর্শন স্থানীয় কৃষি অর্থনীতিতে মাশরুম চাষের সম্ভাবনা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
প্রকল্পের বিস্তারিত:
এই অত্যাধুনিক মাশরুম উৎপাদন ইউনিটটি ২০২৪–২০২৫ অর্থবর্ষের রাষ্ট্রীয় কৃষি উন্নয়ন যোজনা (RKVY)-র আওতায় উদ্যানপালন বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে। এটি একটি ঋণ-সংযুক্ত ব্যাক-এন্ডেড ভর্তুকি প্রকল্প, যার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রতিটি ইউনিটের জন্য মোট ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে, যার মধ্যে ৮ লক্ষ টাকা (৪০ শতাংশ) সরকার কর্তৃক ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করা হয়। এই ধরনের প্রকল্পগুলি স্থানীয় কৃষকদের স্বাবলম্বী করতে এবং নতুন উদ্যোগ শুরু করতে উৎসাহিত করে।
পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন যারা:
এই গুরুত্বপূর্ণ পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ও জেলার উদ্যানপালন এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন:
* দীপ্তেন্দু বেরা, অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক, উদ্যানপালন বিভাগ
* অনুপ কুমার দে, যুগ্ম সচিব, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন বিভাগ
* কৌশিক চক্রবর্তী, যুগ্ম পরিচালক, উদ্যানপালন বিভাগ
* মৌতুসী মিত্র ধর, উপ-পরিচালক, উদ্যানপালন বিভাগ
* সুধীপ চন্দ্র, সহকারী পরিচালক, উদ্যানপালন বিভাগ
* সন্দীপ চন্দ্র, সহকারী প্রকৌশলী, হর্টিকালচার কর্পোরেশন
* রাহুল চক্রবর্তী, জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক
* এইচ. এম. রিয়াজুল হক, বিডিও, উলুবেড়িয়া–১ ব্লক
* পার্থ প্রতিম পাল, সহকারী উদ্যানপালন আধিকারিক, উলুবেড়িয়া মহকুমা
* ডা. অনামিকা উপাধ্যায়, সহকারী পরিচালক, উদ্যানপালন বিভাগ
* হর্ষিত আগরওয়াল, (উপভোক্তা, এম/এস প্রিমিয়াম মাশরুম)
* প্রদীপ পাল, প্রধান, হাটগাছা–২ গ্রাম পঞ্চায়েত
কর্মসংস্থান ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা:
উপস্থিত সকল আধিকারিকই এই মাশরুম উৎপাদন কেন্দ্রের মাধ্যমে স্থানীয় কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর জোর দেন। মাশরুম চাষ একটি লাভজনক কৃষি উদ্যোগ হিসেবে পরিচিত, যা তুলনামূলক কম জমিতে অধিক উৎপাদন দিতে সক্ষম। এই কেন্দ্রটি স্থানীয় কৃষকদের মাশরুম চাষে প্রশিক্ষণ দেবে এবং উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে সহায়তা করবে, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সহায়ক হবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রকল্প আরও ব্যাপক হারে প্রসারিত করার কথা ভাবা হচ্ছে, যা রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।