মাছ চাষে নতুন দিশার খোঁজে—শেখ মফিজুলের উদাহরণে অনুপ্রাণিত উলুবেড়িয়া

Share this page

উলুবেড়িয়া এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ কর্মাধ্যক্ষ শেখ মফিজুল শুধুই একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন—তিনি একাধারে এক মৎস্যপ্রেমী, একজন সফল মাছ চাষি এবং একজন বাস্তব উদাহরণ, যিনি দেখিয়ে দিচ্ছেন নিষ্ঠা, ভালোবাসা ও পরিশ্রম থাকলে নিজেদের শিকড়েই কত বড় সফলতা পাওয়া যায়।

ছোটবেলায় যেখানেই জলাশয় দেখেছেন, সেখানেই তার কৌতূহল—জাল ফেলা, মাছ ধরা, জলতলের জীবনের প্রতি ছিল প্রবল টান। পড়াশোনার পাশাপাশি এই ভালোবাসা কখনও ফিকে হয়নি। বরং সময়ের সঙ্গে সেই শখ পরিণত হয়েছে পেশাদার চেষ্টায়। বর্তমানে মৎস্য কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি, তিনি অবসর সময়ে নিজে হাতে মাছ চাষ করেন এবং জাল হাতে নেমে পড়েন পুকুরে মাছ ধরতে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রায় ১০০ বিঘা জমির ওপর বিস্তৃত পুকুরে তিনি মাছ চাষ করছেন। তাঁর ব্যবহৃত আধুনিক পদ্ধতি, নিষ্ঠা এবং দক্ষতা স্থানীয় মানুষকে মুগ্ধ করেছে। প্রতিদিন তিনি সকাল হতেই পুকুরে যান, খোঁজ রাখেন জলমান জীবনের, এবং সঠিক খাদ্য ও পরিচর্যার মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন চমৎকার মৎস্য সম্পদ।

এই ছবিগুলিতেই ধরা পড়েছে সেই অধ্যবসায়ের এক ঝলক। জলে নেমে জাল টেনে তুলছেন তিনি এবং তাঁর সহযোগীরা—এক ঝাঁক রুই, কাতলা, সিলভার কার্প উঠে আসছে জালের ফাঁদে। যেন এক রূপকথার পরিণতি।

উলুবেড়িয়ার অনেকেই এখন শেখ মফিজুলের দেখানো পথ অনুসরণ করে মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তাঁর এই উদ্যোগ শুধু আত্মনির্ভরতার দিশা নয়, বরং স্থানীয় অর্থনীতিতেও একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত তৈরি করছে।

উলুবেড়িয়ার মানুষ আজ তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন—কারণ তিনি শুধুই নির্বাচিত প্রতিনিধি নন, তিনি এক জনদরদী কর্মাধ্যক্ষ, যিনি প্রকৃত অর্থে মাটির কাছাকাছি থেকে মানুষের পাশে রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *