রেশন কার্ড থাকলেও, মিলছে না রেশন। যে রেশনের চাল ডালের ওপর নির্ভরশীল ৯০ ঊর্ধ্ব স্নেহলতা ঘোষ, জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে কি মিলবে না কোনো সুরাহা মুর্শিদাবাদের সুতি ২ নম্বর ব্লকের অধীনস্থ অরঙাবাদ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দহরপারের বাসিন্দা ৯২ বছর বয়সী স্নেহলতা ঘোষের বার্ধক্যজনিত কারণে আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় পাচ্ছে না কোনো রেশন সামগ্রী।
এছাড়াও, তিনি পাননা বিধবা ভাতাও । অভাবের সংসারে ৬০ ঊর্ধ্ব ছেলে সুনীল ঘোষকে নিয়ে টালির বাড়িতে কোনো রকমে দিন কাটাচ্ছেন স্নেহলতা দেবী। ছেলে সুনীল ঘোষও অসুস্থতার কারণে হারিয়েছেন শ্রবণ শক্তি।
রেশনের সামগ্রীর ওপর নির্ভরশীল মা ও ছেলের অভাবের সংসারের খবর পেয়ে মালদা থেকে ছুটে এসেছে বড়ো মেয়ে সুমিত্রা মন্ডল। অশক্ত শরীর নিয়ে কত দিন আর এইভাবে দিনযাপন করবেন ৯০ ঊর্ধ্ব স্নেহলতা ? তবে কি মিলবে না কোনো সুরাহা মা ও ছেলের ? এই খবর পেয়ে তাদের সন্ধানে এসেছিল জাগরণ বাংলা। বিভিন্ন সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই পরিবারের পাশে কি দাড়াবে, উঠছে প্রশ্ন।
এই বিষয় নিয়ে কি বলেছেন গ্রামের মেম্বার সনাতন রজক বলেন ” এই ব্যাপারে আমদের কোনো দায়িত্ব দেয় নি, কিন্তু এরা বিধবাভাতা , রেশন পাওয়ার যোগ্য । “