এক চোরাচালানকারী সোনা পাচারের চেষ্টা করছিল, এবং তার পরিকল্পনা ছিল মোটর সাইকেলের ইঞ্জিনের ভেতর সোনা লুকিয়ে রাখার। কিন্তু বিএসএফ, যে ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষার জন্য দায়ী, তার এই চেষ্টা অপ্রয়োজনীয় করে তোলে। বিএসএফের সদস্যরা যখন পাচারকারীকে লক্ষ্য করেন, তখন সে বাইকটি ফেলে পালানোর চেষ্টা করে। সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ ওই বাইকটি আটক করে। অভিযানে ধরা পড়া মালেক শেখ নামের ওই পাচারকারী পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দা বলে বিএসএফের তদন্তে জানা গেছে।
তল্লাশি চালানোর সময় বিএসএফ প্রায় ১২টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে, যার মোট ওজন ১৩৯৯.৭৩০ গ্রাম। বাজারে এই সোনার দাম এক কোটি টাকারও বেশি বলে জানিয়েছে বিএসএফ। সোমবার সকালে মালেক যখন বাইক নিয়ে সীমান্তের দিকে আসছিল, তখন বিএসএফের ১১৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তার গতিবিধির উপর নজর রাখছিল। তারা দেখেন, পাচারকারী সীমান্তের দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। বিএসএফের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মালেক নিজের বাইক ফেলে পালিয়ে যায়, কিন্তু তার চক্রান্ত এরপরেও ব্যর্থ হয়।
এই ঘটনার ফলে সীমান্ত সুরক্ষায় বিএসএফের কার্যক্রম এবং সতর্কতা পরিস্কারভাবে প্রকাশ পায়। পাচারকারীরা সীমান্ত এলাকায় সোনা ও অন্যান্য মূল্যবান পণ্য পাচারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, কিন্তু বিএসএফ তাদের এসব প্রচেষ্টায় চূড়ান্ত বাধা সৃষ্টি করছে। বিএসএফের এই অভিযানের ফলে সোনা পাচারকারীদের জন্য রোধ সৃষ্টি হয়েছে এবং জনগণের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে।