পর পর তিনবার পিছিয়ে গেল আরজি কর মামলার সুপ্রিম কোর্টের শুনানি। প্রধান বিচারপতি কী মন্তব্য করেছেন?

Share this page

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মঙ্গলবারের পর বুধবার। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফের পিছিয়ে গেল আরজি কর মামলার শুনানি। এই ঘটনাটি দু’দিনের মধ্যে মোট তিনবার সম্পন্ন হয়েছে এই মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে। এর ফলে আজ এই মামলার শুনানি সম্ভব হল না।

আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানির সময়সূচি কী হবে, সেটি এখন সকলের মনে প্রশ্ন। মঙ্গলবার বিকেলে শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেই সময়সূচি পরিবর্তিত হয়। আইনজীবীরা আশা করেছিলেন, বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। তবে আজ সকালে আবারও বেঞ্চ বসলেও মামলার শুনানি হয়নি। বলা হয়েছিল, বিকেলে ৩টা থেকে শুনানি শুরু হবে। কিন্তু ৪টা নাগাদ দেখা যায়, মামলার শুনানি না করে বেঞ্চ উঠে গেছে। তখন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়ে দেন, আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

আরজি কর মামলায় রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল এদিন বিকেলে যখন শুনানি হবে না শুনে, তিনি আগামী সপ্তাহে মামলার নতুন তারিখ চাচ্ছেন। অপরদিকে, জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি সিবিআইয়ের তদন্ত সম্পর্কে প্রশ্ন তুলছেন। তবে আজ শীর্ষ আদালত মামলার কিছুমাত্র অংশ শুনতে প্রস্তুত নয়।

প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় প্রথমে জানান, আগামীকাল দুপুরে এই মামলার শুনানি হবে। রাজ্যের আইনজীবী সিব্বল তখন বলেন, সকাল ১০:৩০ টায় মামলার শুনানি হলে ভালো হয়। সিজেআই এই বিষয়টি শুনে বলেন, “আপনারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আদালতকে জানান। আগামীকাল এই মামলার শুনানি হবে।”

এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, গতকাল বিকেল ৩টা থেকে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে সিজেআইসহ অন্যান্য বিচারপতিদের রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হবে, ফলে শুনানি পিছিয়ে যায়। ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। আজ সকালে যদিও বেঞ্চ বসেছিল, তবে মামলার শুনানি হয়নি। বিকেলে শোনা হবে, এমন ঘোষণার পরও আবার শুনানি পিছিয়ে গেল। এখন সকলের নজর শীর্ষ আদালতে আগামীকাল কখন আরজি কর মামলার শুনানি হয়, সে দিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *