কালীপুজোর রাতে দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে, যা এলাকায় ব্যাপক চিন্তার সৃষ্টি করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে কালনা – কাটোয়া রোডের সমুদ্রগড় গৌরাঙ্গ পাড়ার কাছে এই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ দ্রুত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে। উৎসবের রাতের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা এলাকার মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য ও দুশ্চিন্তার বাতাবরণ তৈরি করেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ চার যুবক বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে সমুদ্রগড়ের রেলবাজার থেকে জালুইডাঙ্গার দিকে যাচ্ছিলেন। অতি গতির কারণে প্রথমে তারা একটি মহিলাকে ধাক্কা মারে। এরপর, মোটরসাইকেলটি একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এই ভয়ংকর সংঘর্ষের কারণে পিকআপ ভ্যানটিও উলটে যায়, যা আরও বেশি ক্ষতি ঘটায়। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই ২ জনের মৃত্যু হয় এবং গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে কালনা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে সেলিম মোল্লা, বাক্কর মণ্ডল, নওয়াজ মণ্ডল এবং আরিফ শেখ রয়েছেন। সেলিম, বাক্কর এবং নওয়াজ সমুদ্রগড়ের ডাঙাপাড়া এলাকার বাসিন্দা, আরিফ শেখ পারুলডাঙার বাসিন্দা। এই দূর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত মোটরসাইকেল ও পিকআপ ভ্যান দুটিকেই বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনার পর স্থানীয় জনগণ পুলিশ প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তাঁদের অভিযোগ, কালনা – কাটোয়া সড়কে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পুলিশ কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর কারণে প্রতিনিয়ত সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। এলাকার বাসিন্দারা এই বিষয়েও প্রশ্ন তুলছেন যে, কিভাবে হেলমেট ছাড়াই এই চার যুবক উৎসবের রাতে বড় রাস্তায় মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। পুলিশের তরফে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক জবাব মেলেনি, যা এলাকার বাসিন্দাদের উদ্বেগকে বাড়িয়ে তুলছে।